নেত্রকোণার পূর্বধলায় পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা ও গোয়ালঘরে অগ্নিসংযোগ এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি সদস্যসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ৮০-৯০ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে। এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে পূর্বধলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর পাইলাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয় সূত্র জানায়, জুয়েল মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী বশির উদ্দিনের পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। জুয়েলের দাবি, বশির উদ্দিনের ছেলে আরিফ তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। মেয়ের বিয়ের পর থেকেই প্রতিপক্ষ তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল।
বুধবার রাতে একদল সশস্ত্র লোক তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে গোয়ালঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মারধর করে। খবর পেয়ে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এতে পুলিশের নায়েক মো. আনসার উদ্দিনসহ অন্তত ৫-৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। গুরুতর আহত আনসার উদ্দিনকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর পুলিশের ওপর হামলা চালানো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
জুয়েল মিয়ার পক্ষের আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জুবায়ের (২৬), আরিফ (২৫), হাসিম (৪০), সোহাগ (২২), জয়নাল (৪৫) এবং রাকিব (২২)। তারা সবাই উত্তর পাইলাটি গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু দে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮০-৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, ঘটনার পর পুলিশ রহিম উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ওই এলাকার সমুজ উদ্দিন ওরফে গতার বাপের ছেলে। রহিম উদ্দিনের দুই ছেলেও (বাকী বিল্লাহ ও রিপন) হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত।