চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের পরিচালিত এক গোপন অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবু দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয় রোববার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিবু দাশগুপ্ত লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে নেতৃত্ব দেন একাধিক ঝটিকা মিছিলে। এসব মিছিলে জনমনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য হন এবং এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তড়িঘড়ি করে বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযানটি পরিচালিত হয় সাহসী ওসি আব্দুল করিম ও চৌকস এসআই নওশেরের নেতৃত্বে, যাদের নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। কমিশনারের সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল, কোতোয়ালী থানা এলাকায় কোনো ধরনের অপরাধ, গ্যাং-সংস্কৃতি কিংবা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের গোপন তৎপরতা বরদাস্ত করা হবে না।
পুলিশের গোপন সূত্র জানায়, শিবুর বাসায় ওই সময় একটি গোপন রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জুলাই আন্দোলনের সময় গুলি চালনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার, চকবাজারের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ‘টিনু’সহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন সক্রিয় সদস্যের। তবে পুলিশের হঠাৎ উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই অভিযানের মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—চট্টগ্রামে আর কোনো সন্ত্রাস, সহিংসতা, কিংবা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধ বরদাশত করা হবে না। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই অভিযানকে নাগরিক সমাজ সাধুবাদ জানিয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।